শিল্পায়ণঃ
যোগাযোগ ব্যবসহা ও প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে প্রাচীনকাল থেকে জয়পুরহাটে তেমন কোন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি । ১৯৬৮ সালে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে কয়লা এবং জয়পুরহাট সদর উপজেলায় চুনা পাথর খনি আবিস্কৃত হওয়ার পর এ অঞ্চলে শিল্পায়নে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দেয় । কিস্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন কারনে উক্ত কয়লা ও চুনাপাথর উত্তোলন ও শিল্পায়নের তেমন কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি ।
K) জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডঃ জয়পুরহাট জেলাসহ অন্যান্য জেলার উৎপাদিত আখ থেকে চিনি তৈরী করার লক্ষ্যে ১৯৬০ সালের মে মাসে জয়পুরহাট সদরে ১৮৮.৮৭ একর জমিতে ( কারখানা,অফিস, কলোনী, ফার্ম,আখ ক্রয় কেন্দ্রসহ অন্যান্য ) জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিঃ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৬৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শেষ হয়,উক্ত মিলটিতে ১০০১ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর সমনবয়ে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় । ২০০৭ ও ২০০৮ অর্থ বছরে ১৬,০০০ একর জমিতে ইক্ষু/আখ আবাদ করে ১,৭৫,০০০ মেঃ টন ইক্ষু/আখ মাড়াই সম্ভব হয় ।বাৎসরিক চিনি উৎপাদনের ক্ষমতা- ২০,৩২০ মেঃ টন
L) জামালগঞ্জ হাঁসমুরগীর খামারঃবাংলাদেশের বৃহত্তম হাঁস-মুরগীর খামার জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জে অবস্হিত । ১৯৩৭ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত । এখানে উননত জাতের হাঁস-মুরগী পাওয়া যায় এবং ডিম হতে বাচ্চা ফুঁটিয়ে বিক্রয় করা হয় । এখান থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রচুর আয় হয় । এ ছাড়াও জয়পুরহাট জেলায় ব্যক্তিগত পর্যাযে ছোট-বড় অনেক হাঁস-মুরগীর খামার গড়ে উঠেছে ।
M) বিসিক শিল্প নগরীঃ জয়পুরহাট শহরের দক্ষিণে জয়পুরহাট জামালগঞ্জের সড়কের পূর্ব পার্শ্বে ১৯৯১ সালে ১৫ একর জমির অধিগ্রহণ করে শিল্প নগরীর কাজ শুরু হয় ।
এ ছাড়াও জয়পুরহাট জেলায় ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে অসংখ্য চাল , আটা এবং তুলা কল রয়েছে ।
----------------ঃ----------------
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস