পাঁচবিবি,জয়পুরহাট
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট। ফোনঃ +৮৮০৫৭২৪-৭৫০১৪ মোবাইলঃ +৮৮০১৩১৮২৪৭১৫০
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা সদর হতে ৫ কিঃ মিঃ পূর্বে তুলশীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষপূর্ণ এলাকার নাম পাথরঘাটা । নদী পরিবেষ্টিত পাথরঘাটা সহানীয়ভাবে কসবা উচাই ও মহীপুর নামে পরিচিত । প্রায় ৯/১০ কিঃ মিঃ এলাকা জুড়ে অসংখ্য প্রাচীন কীর্তির মধ্যে মৃৎপাত্রের ভগনাংশ খোদাই করা শীলালিপি বিশাল গ্রানাইট পাথরের খন্ডাংশ পাথরের জন্যই সম্ভবতঃ এলাকাটি পাথরঘাটা বলে পরিচিত। পাথরঘাটার মূল কেমেদ্রর মাত্র ২০০ গজ উত্তরে প্রাচীনকালের চারপাড় বাধাঁনো একটি অগভীর জলাশয় আজো কালের সাক্ষী হয়ে আছে । ভগন পাড়গুলির প্রাচীন ইটগুলো দেখে তা সহজে বোঝা যায় । পুকুরের পূর্বদিকে পাল আমলে খ্রীস্টান মিশনারীজগণ অত্যাধুনিক একাধিক ভবন নির্মাণ করে সহানটির মান অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছেন । ভবনগুলি নির্মাণকালে খননের সময় অসংখ্য পুরাকীর্তির ভগনাবশেষ বের হয়েছে যা সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে । তুলশীগংগা নদীর উচু পাড় হতে প্রায় ১৮ ফুট নিচ পর্যন্ত পাথর দিয়ে বাঁধানো সিড়ি ও প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য চোখে পড়ার মত । অনুমান করা যায় তুলশীগংগা নদীর সৃষ্টির ফলে প্রাচীন এই বিশাল ইমারতগুলি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে । বর্তমানে খ্রীস্টান মিশনারীজ ভবনের মাত্র ৩০০ গজ দূরে একটি ঐতিহাসিক মাজার ও একটি মন্দির আছে । এলাকাবাসী এই মাজারকে পীর কেবলা নাসির উদ্দিনের মাজার ও হিন্দু সম্প্রদায় নিমাই পীরের দরগাঁ বলে দাবী করেন । বর্তমানে খ্রীস্টান মিশনের পশ্চিম দিকে একই সহানে ৯ ( নয়) টি পুকুর ছিল । আর এ জন্যই সহানটির নাম নওপুকুরিয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন । তবে বর্তমানে এখানে পুকুরের কোন অস্তিতব নেই । ধারণা করা হয় এই নওপুকুরিয়াতেই ঐতিহাসিক পাথরঘাটার প্রাচীন প্রশাসনিক/আবাসিক ভবন ছিল । পাল বংশীয় রাজা প্রথম মহীপাল ( ৯৮৮- ১০৮৩ ) এর নামানুসারে সহানটি মহীপুর হয়েছে বলে কিংবদন্তী চালু আছে ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS